অচেনা হাওয়ায় ভেসে আসা গন্ধে জানলুম তোর মন ভালো নেই! তোর মন ভালো নেই রক্ষণশীল ঝিলের জলে বাসি ফুল ভাসতে দেখে, তোর মন ভালো নেই আকাশের অভিমানে!
চাঁদ কে আমি তোর নামে ডাকতে শুরু করেছিলুম,আমার নীল ভালবাসাকে যে অপরাজিতা বলে তোর পায়ে দেবো ভেবেছিলুম তা স্বপ্নই রয়ে গেলো অনাঘ্রাতা, তাকে কেউ ছুঁলো না, তাকে কেউ দেখলো না, তাকে কেউ বুঝল না,একটা অধরা পাট না ভল্কাতাড়ীর মত সে পরে রইল,ক্ষয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়, পিঁজে যাওয়ার প্রতীক্ষায়......
যেদিন রাত আর সকাল হবে না আমার,যেদিন কবিতা লেখা থেমে যাবে, যখন কলমের মলম আর প্রয়োজন পরবে না প্রিয়জনের বিরহ ক্ষতে লাগাবার বিক্ষত যন্ত্রণায়, সেদিনও হয়তো এই প্রেমের ভ্রুন হত্যাকে, এই অধরা মাধুরী কে আমি ভুলতে পারবো না!
আমি কথা দিলুম,আজ কের পর থেকে আমার কোন লেখা তোকে ঘিরে হবে না, তোকে নিয়ে হবে না, কারন তুই ভীষণ ভালো কবিতা লিখিস ঠিক ই, কিন্তু একটি ও প্রেমের চিঠি তোর কলম জন্ম দিতে পারেনি, একটিও প্রেমের চিঠি তুই লিখিস নি,কারন তুই জানিস ই না প্রেমের স্বাদ, প্রেমের রং,প্রেমের শব্দগন্ধময়তা,তুই জানিস ই না প্রেমের মাহাত্ম্য স্বার্থক বিন্যাসে, তুই জানিস না ভালোবাসা আর দাম্পত্য সমার্থক নয়! আর আমি এও জানি কোন পুরুষ যে নিজেকে প্রেমিক মনে করে সে তোকে একটিও প্রেমের চিঠি লেখেননি!
সুন্দরীর প্রতি পুরুষের আসক্তি প্রকৃতির নিয়মে,সেখানে অন্যায় যেমন নেই তেমন নেই ন্যায়ের নিয়মাকতা, আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি যে সব পুরুষ হৃদয় এই যাবতকাল তোকে প্রেম নিবদনে রচনা করেছে গীতগোবিন্দ আমি তাদের থেকে অনেক ভালো পদাবলী তোর জন্যে লিখতে পারলেও এক সাধারন মেয়ে কে ভালোবেসে লিখেছি রাতের পর রাত প্রেমের চিঠি!! একশো নীল আট পদ্মের ভালোবাসায় বন্ধনহীন দাবীহীন কামনায় দোল পূর্ণিমায় আমার ভালোবাসার রঙ্গে রঙিন করেছি তোর যন্ত্রণাকে...তবু তুই বুঝিসনি আমার ব্যাকুলতা, আমার আকুল আর্তি তোর জ্যোৎস্না কে ঘিরে, তোকে ঘিরে!
যদিও তোকে নিয়ে এটাই আমার শেষ লেখা, বিশ্বাস করিস কিম্বা না করিস কারন, রূপে ভোলার পুরুষ যদি আমি হতুম তবে কবেই ভবঘুরে হয়ে বেড়িয়ে পরতুম ঘর বাড়ি ছেড়ে প্রকৃতির রূপের মোহে,কিন্তু আমি রাজা, আমি বাংলার নবাব সিরাজ আর আমিই ফকির, আমিই সন্ন্যাসী মনের বানভাসি প্রতিকুলে! আমি আর তোর মনের গহনে আসবো না, আমি আর ফিরে চাইবো না তোর দাম্পত্যের মিথ্যে সুখের দিকে, আমি আর ডাকবো না তোকে যে নামে ডাকতো রবীন্দ্র কাদম্বরী কে...
প্রনয়ে প্রনয়ীর বিনয়ে যে ফল নির্নয় হয় সময় আর সম্পর্কের সমীকরণে তাকে গোপন অনুনয়ে আমার প্রথম ও শেষ উপহার হিসেবে দিয়ে গেলুম তোকে, হয়তো এই উপহার আমার প্রেমের মতই তোর কাছে মূল্যহীন, তবে কি জানিস আমার অন্তরের অন্তরতম জায়গায় তোকে নিয়ে গিয়েছিলুম দোল পূর্ণিমার মেলায়, আজ যখন তোকে ফিরিয়ে দিয়ে গেলুম তখন আমার একলার পথ বহুপরিচিত হয়েও আজ বিরহের ভার টা একটু যেন বেশী, আকাশে এখনো পূর্ণিমার চাঁদ, আর আমার আকাশ আজ সম্পূর্ণ অন্ধকার, আগামী বছর দোলে হয়তো আমি আর থাকবো না তোর দুরে থেকেও কাছে, বলতে পারবো না একটা চাঁদ তোঁ আমার আছে,তাই যেতে যেতে আগামী বছরের বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলুম,
আসিবে ফাল্গুন পুন তখন আবার শুন নব পথিকের গানে নুতনের বানী, দিয়ে গেনু বসন্তের এই গান খানি...
ভালথাকিস......