Friday, 18 October 2013

গোপন চিঠি লেখার নাম প্রেম-
তুই না থাকলে কবিতা না লেখার কারনের নাম ও প্রেম-
প্রেম যে কাকে বলে আর কাকে নয়
সেটা জানার ব্যাকুলতার নাম ও প্রেম
আমি শুধু আছি প্রেম কাকে বলে জানবো বলে,
যে ভাবে ঘুমে ভরা চোখ নিয়ে জেগে থাকি প্রতিটা রাত
তোর ফোনের অপেক্ষায়-
খোঁপার জুঁই থেকে ট্রাফিক জ্যামের অবকাশে
হাতের হলুদ খাম কিম্বা অক্লান্ত চুমু
বিছানায় পাতা চাদরেতে পড়া রিঙ্কল,
আর বাহুবন্ধনী সবার ই আলাদা মাহত্য আছে নিত্য সত্যতায়-
খালি অনাবৃত আদরকে একশো আট ঘড়া গঙ্গাজল ঢাললেও
সে পবিত্র নয়, বরং রিক্ত সিক্ত কাপড়ের শীতলতায়
পোড়া পাঁপড়ের মত অক্ষত হয়েও ক্ষত...
ওটাকে বরং সোহাগ বলে ডাকি,
দুপুরের নুপুরের সাথে হারিয়ে যাওয়া কানের গুঁজির উষ্ণতাটুকু
ধার করলেম শুধু তোর জন্যে।
এখন রাত্রি নিজেকে ভোলানর সময়,
ঘুম পাড়ানোর সময়,
নিজেকে হারানোর জন্যে তো তুই রইলি......
Fire ele chinre vijbe na...
Ghire thhaka sriti gulo tarosswore chenchiye uthe o nijeke samle nebe soujonnyo sikkhay... .. .
Rat gulo nehat sthulo vari ondhokarer,
Nochet seo prolep muchhe akkheper thongay sukno muri chiboto kancha longka ar noon diye-
Suye pora sorir take ajkal ar temon valolage na...
Valolage na bolte ektu sore bosun!!!
Kebol vabi,Kemon kore prem,byakulota ai sob jinis gulo ke kochu shak vabis obolilak-krome, 
Ami to kharap se kharap noyontarar baireo berote pari na...
Aj mohasostir sesh resh lege klantir gham'e veja genjite-
Kintu tobu ager ami ke dami ator thheke sosta chauniteo khunje pelum na kichhutei...
Sudhu matro notun premikar chokath'e pa diye o fire elem tar sathe dekha na kore-
Karon,take ar tor moto khamoka kosto dite chai na soptomir rasta kete.. . .
সত্যি বলছি তোকে ছুঁয়ে,
আমার কবিতা গুলো তোকে ঈর্ষা করতে শুরু করেছে-
ভাবনার প্রত্যন্ত কোষে প্রবেশ করেছে যে আবেশ,
তাকে তোর মুখের আদল দিয়ে ফেলছি শব্দে!
মিলছে না দিন রাত্রির অনুরধে...
শুধু কয়েক পশলা বৃষ্টির কাছে প্রতি টা দিন
তোকে নিয়ে ভেজার সুযোগ চেয়েছি-
আর রোদ্দুর সে তো মুখ ফিরিয়েছে,
তোর উষ্ণতার কাছে হার মেনে...
Ratri tuku ele,nijer porojonmer kotha vabi-
Ar vabi toke valobasar karon ki chhilo,
Amar sohor nahor khonje prohor fele rekhe..
Durotto tuku chhara ar kiba ke pelo??? —
আমাকে মিথ্যে ভাবতে পারিস বিশ বাঁও জলে-
তবে এটা সত্যি আমার সবটুকু প্রেম আজ তোর,
প্রেম কে আমি প্রেমে বলেই জানি,
যাকে সুখ বলে মানে এ শহর!!!!
পেরিয়ে যাওয়া গলির মোর-
লালচে গাড়ির কালচে কাঁচে তুই,
রূপকথারা কাগজ কুড়োয় ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়ে,
কেমন আছিস সেই কথা শুধোই!
মিথ্যে আমার চোখের জলে 
গালের দাড়ির কৌতূহলে-
সঙ্গতিতে সঙ্গ দিতে দোষ,
ভোরের আদর চাদর খোঁজে,
ক্লান্ত শরীর দুচোখ বোঁজে
তবুও যেন আমার তুই নস!
পাল্লা দেওয়ার জেল্লা হারা,
কাড়াকাড়ির বাড়ি ভাড়া-
চারা গাছের ফুল টা শুধু তুই,
বৃষ্টি মাখা এই শরতে,
কাছে আসার অজুহাতে-
ভালবাসিস কিনা তাই শুধোই!!!
একলা শহর ট্রামের লাইন,
প্রেমের চেকে নকল সাইন,
ফুটপাথ জুরে হিন্দি গানের নাচ।
আমার শুধু চোখের বালি,
প্যাকেট খালি পকেট খালি,
জলে ভেজে একলা ঘষা কাঁচ!
সামাল দেওয়ার রুমাল কেবল!
সর্ষে বেটে ইলিশের ঝোল,
বুক চেরা লঙ্কা গেলো কই...?
কিছু কথা গুমরে মরে,
ডিপ ফ্রিজের আঁতুড় ঘরে-
ভালোবাসার রেসিপি টা শুধোই!!!!!
গলা শুকিয়ে আসে প্রেম না পেলে-
কবিতায় হাত পাকানোর মত মন পোড়ানোর ইচ্ছে 
আজন্মকৈশোর-
দোসর শুধু পালা বদলের মেঘে,
কখনো রোদ্দুর, কখনো বা শিশির গায়ে মাখে!
শহুরে প্রলাপে ইট বালি সিমেন্টের ভীত,
হার জিত একটা দিনযাপনের অভ্যেস মাত্র-
আমার ইছামতি, অলকানন্দা, পদ্মার কবিতায়
ব্যালেন্স সিটের আড়ালে সবাই মুখ টিপে হাঁসে...
খোয়া যায় রুমাল প্রায় প্রতি হপ্তায়,
সঙ্গে মন মুহূর্তের বাঁকে-
অনেক কিছু পাই আর হারাই পায়ে পায়ে,
কে যেন আমায় কেবল আজকের দিন টাই বাঁচতে বলেছিল!
এখন অনেক ইচ্ছা বদলেছে,
কেচ্ছা ভালোবাসি অজানা ভালোবাসায়-
এখন আমি যাদের ভালোবাসি তাদের সংখ্যা ছাপিয়ে গেছে
আমাকে ভালোবাসার পাল্লাতে-
আজকাল যখন তখন শরীর পেতে ইচ্ছে করে
অফ সিজিনে আমের চাটনি খাওয়ার মতন!
Ami toke jiggasa korechhilum valobasis kina...
Ami jante chai ni tor nam,dham,radheshyam'er premer ghonotto koto ahoto moner prolepe..
Ovisaper uttap'e chhilo mombatir obokkhoy-
Ami sudhu garir dyash border kanche lege thhaka bristir jole toke valobesechhilum nehat e valo basbo bolei...
Onuvutir stob stuti te ami biswas kori na konodin..
Tai,bujhe uthte parini,toke valo na basle hoyto tui amay valoi bastis na..
Othoba,ami toke fon na korle amay fon kortis na tui..
Dui shaliker paloke ajo lege achhe ratrir gondho...
Rondhre rondhre banchar jwala bish-
Ami nehat e boka adomer uttor suri,
Prem bina ki tui prem ditis!!!!
ভালো না বাসলে খোলসা করে বলিস...
কারন,তোর উপহারের বহরে এই শহরের মানচিত্রই বদলে গেছে!
বদলে গেছে দিনযাপনের ধরন, গড়ন-
রাত্রি বাসের অবকাসের রং, কিম্বা ফ্যাকাসে অনুভুতি গুলো!
তোকে জীবনে পেয়ে লোকে যত না আমায় গালমন্দ করছে,
তার চেয়ে বেশী বুঝি আমরা দুজন দুজন কে চুমু ছুঁড়ে দিয়েছি-
দূর থেকে যে যার অন্তরপুরে,
গায়ে মেখেছি আলো, অন্ধকার অকারন প্রকার ভেদে 
যাকে হিসেবীরা বলে সময় নষ্ট!
অস্পষ্ট কিছু নীলচে স্রোতে রাত্রির গভীরে যখন
সমস্ত দেনা পাওনা ঘুমিয়ে কাদা-
তখন বুঝি তোর আধো গলায় স্বরচিত কবিতার উৎস
উচ্চগতিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় রাত মোহনায়!
অবাঞ্ছিতের ঘুম নিঝুম বেলায়,
শুধু কলম কে ভালোবাসার হাতিয়ার করে মুহূর্তের এক্তিয়ারে...
আমার চোখ জুড়িয়ে আসে-
ওপাশে তোর তখনো অক্লান্ত চাওয়া,
আমি পাশ ফিরে শুই-
নিশিপদ্মের বরাদ্যে রাত ভোর হয়ে আসে-
ভোডা ফোনের মনে তখন সংযোগের অনীহা,
গুলিয়ে যায় কেবল -
তোর আর আমার শুভ রাত্রি নাকি দিন... .. . 
একটা অনুরোধ ছিল তোমার কাছে,
যদি পারো আরও একবার এই হৃদয় করে তুলো ক্ষতবিক্ষত!
দোহাই তোমাকে একটি বার,
কোন অশান্ত নির্জনতায় পেতে চাই আগের মত!
কেনোনা, ট্রাম লাইন ভেজা রক্ত,
বিরক্ত ট্রাফিক পুলিসের নালিসের চেয়েও-
পাশ বালিসের আদলে কিছু ভিন্ন স্বাদ বরাদ্য হয়েছিল
তোমার ই বাসনে, আসনের যাচিত ভঙ্গিমায়!
তারপর মাস,কাল,বদলালো প্রবাল কীটের লালচে লালায়
গলায় মালা,কপালে আলপনা এঁকে
অস্তগামী সূর্যকে সিঁথিতে ধরলে যেমন ভাবে
একদিন আমার গলা জড়িয়ে ধরেছিলে,
আর বলেছিলে-
"আমি আছি...তুমি গুছিয়ে নাও!"
সত্যি কথা বলতে গেলে
মিথ্যে বলে ফেলি আজকাল...
সকাল গুলো ও মিথ্যে লাগে, মিথ্যে লাগে
মিথ্যেবাদীদের মুখ- 
এখন যদি যুধিষ্টির কষ্টি পাথরে মাথা ঠুকে
পুষ্টিহীন সম্পর্কের যুক্তিতে আমার মন ভোলাতে চায়-
বিশ্বাস কর, আমি রাজি হব শুধু একটি মাত্র শর্তে-
পরিবর্তে তোমায় মুচলেখা দিতে হবে-
আর কোন দিন কোন অগোছালোর গলা গুছিয়ে জড়িয়ে ধরবে না... .. .
Valobasar dohai dile,sorbonasi bolbo toke-
Kachhe asar dohai dile-
valobasi bolbo toke,
Bolbo toke sorbograsi amake kha noon chhoriye-
Tokeo ami khabo bole danriye achhi haat bariye,
Periye onek bochhor dinek-
Jona koyek songi sathi,
Tar majhe te toke pelum-
Nijhum rater orundhuti...
Kella fote korte gele jella barai solo ana-
Tor booke te mukh lukiye voole jai sob probonchona..
Denar daye payer beri
Mother merry vorsa tai,
Valobasate aste gele kaste bihin hridoy chai..
এক জন্ম থেকে আরেক জন্মে পা রেখেছি বহুবার, বহুবার আমি ভালবেসেছি মন! শঙ্খিনী,হস্তিনী, পদ্মিনীর দুই হাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে বলেছি - "হারিয়ে যেও না প্লিজ!" কিন্তু তবু আমি হারিয়ে গেছি বার বার সেই এক শূন্যতায়!আমার জীবনে এটা বলা যাবে না যে কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা,তাই তারা হয়তো হারায় নি,কিন্তু হাত বাড়ায় নি যখন আমি তাদের প্রেমে ক্রমশ তলিয়ে যেতে যেতে বলেছিলুম - ভালো থেকো!
ভালো থাকার ক্ষমতা বুঝি সর্বশক্তি মানেরও নেই,যদি থাকতো তবে ভালো থাকার খোঁজে এতো গ্রীষ্ম বর্ষা শরত হেমন্ত শীত বসন্তের ঘূর্ণিপাকে ভালো থাকা টাকে উষ্ণতার ঘামে, বৃষ্টির জলে, শীতের হিমে, নয়তো বসন্তের কোকিলের সুরে কোথাও একটা পাওয়া যেতো... এই ভাবে ভালো থাকার জন্যে খারাপ থাকার ভুমিকা লেখার প্রয়োজন পোরতো না... বার বার!
আমার এখন পরাধীন থাকতে আর ভাললাগে না বিশ্বাস কর! কাউকে ভালোবেসে আলতো হেঁসে মুখ বুজে হন্যে হয়ে তাকে খুঁজে স্বপ্নে ডেকে আনার বয়েস তো সত্যি আমার নেই...! আমি এক এক করে প্রেমিক হওয়ার সব যোগ্যতাই হারাচ্ছি দিনের রঙ্গিনতায় আর রাতের অন্ধকার কে সঙ্গী করে! আমি হয়তো আমার একাকিত্ব কে ভালোবেসে ফেলছি যেভাবে নিজের অজান্তে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছিলুম নির্নিমেষ!!
ভালো বেসে একা হওয়ার বোকা ভালো লাগাটা আমার খুব প্রিয়... খুব বৃষ্টি হচ্ছে চারিদিকে... জল ঝরছে মুশল ধারে! আমি দাঁড়িয়ে আমার বারান্দায়, চোখে মুখে বৃষ্টির ঝাঁট যেন তোমার হাতের শীতল স্পর্শের মত... তোমার মুখটা ভীষণ মনে পড়ছে... 

Saturday, 17 August 2013

Ek kobitar onek day....
Onek pichhutan,
Swopno charini-
Tui osthir moti juboti,
Amar naake lege ajo tor
Stono-sondhir ghran... .. 
booke ajo tor nokher anchor,
Ek tibro premer klanti-
Tui sudhu tui, 
sohag kuroi trisnaro shanti... .. .
তোমার কবিতায় শুধু রাত জাগার হাতছানি-
তোমার লেখায় শুধু বাক্স বন্দী স্বপ্নদের জেহাদ,
আমি কবিতার ক্রেতা নই এক বিশল্যকরণী...
যে কবিতার দিব্যি কেটে মিথ্যে বলবো তোমায়!! 
সস্তার অনেক কিছু চারি দিকে-
দৃষ্টি থেকে অনা সৃষ্টির সুখ,
মরফিয়া মেশানো রাতে চোখের কোনে জল,
আর রাত ভোর হলে হাঁসি মুখ।
চিবুকেরও আলাদা অভিব্যাক্তি থাকে জানো!
দিনলিপির একটা গোপন অধ্যায়- 
ফাঁকা বুকে জমা বিশ্বাস, অবিশ্বাস, রিক্ততা এমনকি চাঁপা ফুলের গন্ধ-
কিন্তু হারিয়ে ফেলা স্বস্তির নিঃশ্বাস টুকু বুঝি তোমার মতই মহার্ঘ্য! 
আজো তাই খুঁজি খোঁজার তাগিদে নিজেকে-
তোমাকে পেলুম তালুতে ভাগ্য রেখায়,
অনেক লিখেছি বড় কবিতা দীর্ঘস্থায়ী প্রেমের মোহে -
ক্ষণস্থায়ী জীবনের দ্বিচারিতায়!
আবার আসবে এমনই কোন রাত্রি,
আকশের চাঁদ থেকে তারারা শুধু তোমার সুরেই গাইবে গান-
শ্রাবণ ঝরাবে অভিস্রাবনের মেঘে প্রেম 
কি যায় আসে সেই রাত্রির ধাত্রী হয়ে কোন মন...... ভিজলো কিনা !!!
তোর খুলে দেওয়া চুলের মাসুলে ভেসে আসে নাকে শ্যাম্পুর গন্ধ,
মার্ক্স লেনিন ফিলজফির বাইরে শুধু তোকে ভালোবাসার স্পৃহা টা মনে বড় ধরেছে-
কানে কানে বলেছে যারা তোকে মন্দ নারী আমার কাছে,
তারাই আবার মন্দ পুরুষের উপাখ্যানে আমাকে নায়ক মনোনীত করেছে!
তবু তোকে ভালোবাসার নেশায় আমি আজকাল বাড়ি চলে আসি তাড়াতাড়ি! 
গাড়ি চালাই সাবধানে -
অন্তত তোর প্রেমে একটা টপ্পা লিখে যেতে পারলেই সুখী!
কিন্তু এখন আমার মন অন্য কথা কইছে,
হাওয়া বইছে গোপন গভীরতায়,
এখন অনেক কবি তোকে ঘিরে ভীর জমিয়েছে নন্দনে-
তুই সুখে থাক,
আমি ভালো আছি অপূর্ণ প্রেমের মগ্নতায়!!!
তুই যতটা আমাকে উদার ভেবে ছিলি,
মাইরি বলছি,আমি ঠিক ততটাই নিজেকে ভাবতুম ...
ইনফ্যাক্ট, কাল অবধিও ভেবে এসেছি...
কিন্তু, প্রেমের সংকীর্ণতা আমায় আবার হাত ধরে সংকীর্তনে নিয়ে গেলো,
শ্রীরাধা আর কৃষ্ণ নামের দোহাই দিয়ে!
বসিয়ে দিলে ভাবের ঘরে চুরির নেশায়,...
প্রেমে পড়ার এই এক বাজে দিক যেটা আন- ম্যানেজেবল্!!!
কিন্তু মজার বিষয় হল,- মিথ্যে প্রেমের ছাঁকনি তে নয়,
সত্যি প্রেমের মন্দিরেতে বুঝি এই মহানতার জুতো টা খুলেই ঢুকতে হয়!
সেঁকতে হয় নিজেকে অজানা তুসের আগুনে,
আসলে তুই আমাকে যতটা খোলা মনের আবরনে দেখেছিলি,
আমি কিন্তু একি চাদর জড়িয়ে আছি এখনো,
শুধু শুধু তোর কদর টা একটু বেড়ে গেছে এই যা...
আওয়াজ থেকে চুমু, কোন কিছু খেতে পরোয়া করিনা আজ তোর প্রেমে...
হ্যাঁ ...হ্যাঁ ঠিকই ভাবছিস, তোকেই বলছি... 
প্রেমের নরমে উষ্ণ গরমে মরমিয়া নিরামিষ ছেড়ে বিষ প্রেমিক হয়ে উঠেছি এই কয়েক দিনে! কিনে খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি গাঁজা,মদ,বাঁজা সুন্দরীদের শরীর। আমি এখন রমজান মাসে হালিম খাচ্ছি আর পায়া... 
রাজা বাজারে বিফ বিরিয়ানির স্বাদ এখন অষ্টাদশী প্রেমিকার শরীর কেও হার মানায়! তবু আমি বিরিয়ানি ছেড়ে গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি খাবো ভাবছি তিলক কেটে, হেঁটে ঘুরে বেড়াবো শহর কোলকাতা শুধু তুই যদি পায়ে পা মেলাস!!
জেলাস ফিলেতে মিড ডে মিলেতে অলিতে গলিতে আমি ফিরে তাকাই না,
ঘিরে থাকা চিঁড়ে ভাজাওয়ালা দের ঝাঁটাকে আমি অস্ত্র ভাবতে নারাজ,
আমি শুধু তোকে,তোর ভ্রমর কালো চোখের নিরিখে, লিখে জানিয়ে দিয়ে যেতে চাই-
তোর রূপের সুগন্ধি ধূপে মা মনসা ভেবে ধুনোর প্রয়োজন নেই,
আমি তোর খাতিরে হেলায় লিখে ফেলতে পারি এক পৃথিবী কবিতা,
আমি তোর জন্যে এই জনারন্যে হন্যে হয়ে ঘুরতে পারি বৃষ্টিতে ভিজে,পুড়তে পারি রোদে...
তোর ছাদের প্রিয় ঘরটাতে এসি লাগিয়ে বেশী ভালোবাসার প্রমান ও দিতে পারি,
কিন্তু, আমড়ার টক কে ব্রাত্য করে জি টক কে ভালোবাসার কথা বলিস না!!! —
আজ বাদে কাল হারিয়ে যাবো আমি,
আজ বাদে কাল অভিনয় ভাব্বে -
আজকে বাদ দিয়ে কালকের ঠিকানায় 
যদি চিঠি পোস্ট করো- 
আমি ফিরিয়ে দেবো পিওন কে সদর থেকে! 
নালিশে তখন আমার নাম বাঁধা,
ফিকে চায়ে বিরহ চুম্বন,
আমি ফালতু হতে শিখিনি আজো শরীরে,
তোমার মত বিকিয়ে সস্তা মন!
Ami mouno brote ojana srote vasi...
tumi kankhito hole boltum "valobasi"!!!!!

Monday, 15 July 2013

Din gulo katuk moddhobritter preme-
Ami sudhu banchi kendrer kamonay,
Tumi uchchobritt'e ek pa rakho,nimno britt'e arek pa!
Ojuhat'e amake vasao raat mohonay!!!!
Mon abar obogahoner tori baichhe...sudhu kaler gale anka alponar chalgunro te je valobasar jol kom porechhilo,ta jogar korte giye e ai bipotti!!!ek rottir ai jibone ami nijer upor otyachar korte kono din pichhu pa hoini jemon..temoni mon ke baron korini oporinamdorsi hote,behisabi hote....amar moner gohone jokhoni jhor othe,tokhoni kakvore jaga chokh duto sunnyota khunje pay,valobese biroho chhara ar ki ba thhakte pare...ar ki ba thhakte pare sakto riti mene soktir aradhonay asoktir muktite...amar protita lekhai ami tumi prodhan..amar protita lekha sudhu lekhai..nitanto kalir opochoy..vabnar mullohin birjopat chhara ar kichchhu noy!!!tobu amar moner akashe jokhon premer badol ghoniye ase,sei mukhtake kendro kore jokhon bristi jhore ojhore obochetoner uthone tokhon amar chup kore sei ojhordharake dekhte boro valolage..moner kone joma onuvutir jole abar prem namer syaola jonmay..abar ami dami hoye uthi amar kache,tar kachhe,tahar kachhe,jahar tahar kachhe....kintu jokhon megh kete roddur othe,tokhon ami chhotrake porjobasito hoi ek bohemiyan santonar swikritite...tobu ami valobasi,bar bar preme pori,krome krome premer name jome otha dena paonar jene nisso hoye promanito hoi,ami eka..dosor hin,basor hin..ek nissongo somrater ovidhay!!!
Valobasar ongke je hatta ke nehat somikoroner baire rekhechhilum....
tui amar thheke kromoso doore sore jete jete sei hat takei venge felli....!!
amar hater taalute tor hat chhonwanor onuvuti ajo fike hoye jay ni...
vengechhilo tor hat,ar tan dhorechhilo siray amar hate...
valothhakar somikorone ami ajo hat bariye achhi tor dike,
somoyer pati gonit mene tui jodi ongko melash amar sutre...
tobe dujonei bujhi kharap thhakar birddhe jehad ghosona korte pari!!!!
বিষণ্ণতার ভাগ চেয়ে আমি কাল রাতে ভালোলাগার রুমাল উড়িয়ে ছিলুম শিস্ দিয়ে, তিলোত্তমা নগরীর বুকে তখন ম ম করছে মাধবীলতার গন্ধ!!যখন নিজেকে হারিয়ে ফেলছি নিশুতির রূপ লাবন্যে তখন বুঝি রাত সাড়ে বারোটার প্রিন্সেপ ঘাটের থাম গুলো পুরনো সুরে গেয়ে উঠেছে -
'যেতে নাহি দিব' যত বার পরাজয়-
তত বার কহে- আমি ভালবাসি যারে,
সেকি কভু আমা হতে দূরে যেতে পারে!
একটি নিঃশ্বাসে তার আদরের ধন-
অশ্রু জলে ভেসে যায় দুইটি নয়ন!!!
তবু আমি যখন দ্বিতীয় হুগলী সেতুর নীচ দিয়ে ছুটে চলেছি বিরামহীন ক্লান্তিতে,শুধু মুহূর্ত কে মুঠোয় নেব বানভাসির মত খর কুটো আঁকড়ানোর মত, রাত্রি কে গায়ে মেখে আমার শহরের বুকে কান পেতে শুনবো,নিঃশব্দতার অনুভুতি, তখন বুঝি আমার চেয়ে সুখি এই দুনিয়ায় কেউ নেই, কেউ নেই যে আমার অশ্বমেধ যজ্ঞের গাড়িটা থামাতে পারে...
ফাঁকা রাস্তা, একা ফুটপাত,
বিষণ্ণ লালচে আলোয় ঝোড়তে থাকা বৃষ্টি-
কৃষ্ণ কালো তোর চোখ দুটো আজো আমার যাচিত,
টেবিল ল্যাম্পের নীচে খোলা কিছু লেখা,
খোলা কলম, খোলা বুকে তোকে ঘিরে থাকা ভাবনা!
জমা অভিমান শুধু ছাই হয়ে জমে অ্যাশ ট্রে তে...... ..
দ্বিধাহীন এক নির্বিষ জীবন পান করে চলেছি বর্ণময়!
তুমি চাইলে একটু নয়,আরও অনেকটা রাস্তা হাঁটতে পারো একসাথে,
নাম গোত্র হীন সহজিয়া মানবতত্বের উন্মত্ততায়,
হাতটা ধরতে পারো নির্ভয়ে অন্তত!
অন্ধকারে বন্ধ দরজা খুঁজে নিরন্তর -
ভালো মন্দের দাবায় মাথা ঘামিয়ে,
স্বল্প পরিসরের পরিযায়ী জীবন ফুরিয়ে দিতে আমার বড় কষ্ট হয়,
আমার বুকে লাগে,
রাগে অনুরাগে জীবনের রং মাখতে না পারার অসহায়তায়। 
তুমি জাননা,আমার আকাশে মেঘ যায় আর আসে,
ভালবাসে ভেজাতে আমাকে বৃষ্টিতে অকাল বোধনে,
তবু শ্রাবণ এলে আমি বৃষ্টি ভেজা হয়ে নতুন করে হাঁটতে চাই,
কোলকাতার গলি থেকে রাজপথে 
গেয়ে বেড়াতে চাই এক ব্রাত্য জীবনের জয়গান!
তুমি কি সঙ্গী হবে?
তুমি কি পায়ে পা মিলিয়ে 
তলিয়ে যাবে আমার সাথে এক আলোআঁধারির কবিতায়,
আমার শব্দ চয়নে সঙ্গতি আছে ভয় নেই.... অসঙ্গতির অক্ষরে!
নিঃসঙ্গতাকে আমি পরোয়া করিনি কখনো গরঠিকানায়!
আজ রাতে আর আমাকে পাবে না তুমি,
আজ আর ভোর দেখা হবে না আমার...
জামার বোতাম গুলোর স্থুল বাধ্যতায়,
নিতান্ত ঝিমিয়ে পরেছে এই দেহ,
কানে কানে আজো তোমার কথা ভাসে,
অবকাসে প্রেম গভীর অতল,
এক ঘেয়েমি বয়ে যায় নিয়মিত,
তোমার ভোর রাত্রের মুখে লেগে থাকা জল!
যেমন শিশির মাখে শিউলি নিশিপদ্ম,
ছন্দ কাটে হাতের হিসেবি হাত,
আজ রাতে আর আমাকে পাবে না তুমি,
পুড়তে দাও আমাকে নির্ঘাত!!! 
ভাসবো অস্থি অলকানন্দার জলে-
তখন তোমার ঘরেতে লোডশেডিং,
রিডিং রুমের ঘুমেতে কাছে পাওয়া-
কালো ঠোঁটের বিরহ নিকোটিন,
তবু রাত আমি একলাটি পার হব,
তবু রাত আমি একলা বাইবো দাঁড়,
একলা জ্বলবে টেবিল ল্যাম্প আর বলবে-
রাত্রি বাসের গোপন অভিসার!
উপহারের তেঁতুল ফ্রিজে রেখো,
লিখো কিন্তু একটা চিঠি অশান্ত কম দামী,
কালকে তুমি ক্ষমার সুযোগ দিও,
কিন্তু,আজ রাতে আর আমায় পাবে না তুমি!!!!
Tomake sudhu bolechhilum,amar kobitar khatay ekta moyurer palok achhe-
bela porte na porte e amake chithi likhe janale-"Berolam niruddesher thikanay.... Bhalo theko, pore kotha hobek."!!!
Ami meghla aksher dike onekkhon cheye thhakte parini tokhon,
Udasi niruddesher vabnay ekta kothai bar bar mone hoyechhilo je -kon thikanay tobe chithi likhbo tomay....
Kon thikanar soloana dokkhinay madhukori swarthok hobe ai poribrajoker...
Dikbidiker meghke joro kore,Bristi aj nemechhe bohubar,tobe sottyi bolchhi ami ekti baro vijini ager moton...
Ekhon Onek kichhu bodle gechho jeno,
Amar mukh,mon,songbedon joto vabnara...sob kichhu...
Ekhon valobasar dhorono bodle gechhe adhunikotar boli rekhay-
Ami sudhu soto byastotay uddessoheen kobitay tomar thikana jante cheyechhi...
Jante cheyechhi kobir kolom thik thame kon thikanar chirkute..
Foote otha ghosa kancher anki boonkite sudhu likhi-
Kajer fanke pother banke tomay jodi pai....
khola aksher megher pashe eto tuku sthhan chai.. .. .
jibon ke valobese o abar valobese feli onno kauke....
tumi biswas korbe kina janina- 
ami bohugami hoye o sot!!!
tai bujhi aj amay voriye dilo valobasa amar ekadhik premikara...
tai bujhi eto premer majhe o ami tomake bolechhilum kichhuta somoy nosto korte amar sathe.....
sotti bolte ki jano,
ami ekta nosto purush,
sposto vabe preme pori...
ar dukkho koste tistote di na sei kagojtike-
je kagojer ek priste amar nam lekha ajo riju ohomikay....

Saturday, 8 June 2013

কথা দিয়ে বয়ে যায় তবু
দক্ষিনের বাতাস, হতাশ কাজল কালো চোখ
শুধু চেয়ে থাকে বেয়ে যায় জল,
তুমি আগুন কে ফাগুনের দোহাই দিলে
এলো মেলো কথার উত্তর পাবে কেবল,
রাত নামে যার নামে
তাকে প্রেমের কাঠামোয় অন্য রূপে
মেনে নেওয়াটা বুঝি
নিজেকে জিতিয়ে দেওয়ার কৌশল-
অথবা অসহায় শান্তনা,
তার চেয়ে ভালো এক রাত একাকিত্ব বুকে নিয়ে
যন্ত্রণা মাপা অজানা রিকটার স্কেলে-
অখিল মিস্ত্রি লেন দিয়ে যে সদ্য বিধবা যুবতীটি
তার যৌবন ধার দিতে যায় নীল ঠিকানায়-
আমার নীল রক্ত একদিন চলকে উঠেছিলো
তার ঘামে ভেজা পিঠ দেখে,
আমার নীল রক্ত একদিন এমন ভাবেই চলকে উঠেছিলো
যেদিন এক পরিচিতা বিধবা বৃদ্ধা কে হাত পাততে
দেখেছিলুম এক যুব স্বাবকের কাছে-
সত্যিই কেটে গেছে অনেক কটা বছর
আজো অপেক্ষায় আকাশ, শূন্যতার গভীরে শুধু
ধু ধু লেবু তলা মাঠ,আর ট্রিঙ্কাসের সামনে
মদ্যপ এক কিশোরের বেড়ে ওঠা নিজের পায়ে
দাঁড়ানো,দাঁড় কাকের ময়ুর হওয়ার স্বপ্ন দুই চোখে-
একটা মসৃণ রাস্তা, সস্তা পেটে দামী মদের নেশা-
গাড়ির কাঁটায় তখন ৯৯+আমি=১০০
মনে প্রানে কানে গানে গানে তখন একটাই মূর্ছনা-
"যো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পারেগা, চাহে জামানা চাহে
চাহে খুদায়া তুমকো আনা পারেগা...
যো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পারেগা......... 
বারান্দা থেকে রাতের কলকাতাটা যেন এক গুচ্ছ জোনাকির জলসাঘর... আর আমার কবিতায় শুধু বেঁচে থাকার আস্ফালন,আর জীবন কে তুচ্ছ দেখাবার একটা ফালতু চেষ্টা, কিন্তু আমি ও বাঁচতে ভালবাসি, ভোর পাঁচটায় সমুদ্রের ধার দিয়ে একা হাঁটতে ভালবাসি,বড়বাজার ডালহৌসি চত্বরের ব্যস্ততা, অবিন্যস্ততাকে এড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিতে ভালবাসি নির্জনতার উষ্ণতায়...কিন্তু ওই ভাবের ঘরে চুরি আর কোলকাতার ঝাল মুড়ি এই দুটি আমার বড় প্রিয় লংরো কিম্বা জ্যাকের থেকে ও...
রাত বারতে থাকে আর আমি হারতে থাকি,একলা একা সঙ্গে আজ শুধু শুভ দাসগুপ্ত আর সুবোধ সরকার...আজকাল আর রাত ভাললাগে না, কেমন যেন ভালোবাসার পাশা বদলে যেতে শুরু করেছে আমার বহেমিয়ান জীবনের উঠনে,অন্ধকার ঘরের আর আমার মুখের মনের অভিব্যাক্তিটা ওই এল- সি- ডি টার আলোর কাছে বন্ধক রেখেছি,অজানা কামনার চাওয়ায়... শুধু ফিকে হলুদে দামী মদের নেশায় আচ্ছন্ন একটা পুরুষ জানে ভালোবাসায় ব্যাথা আছে, যন্ত্রণা আছে, কিন্তু শুধু তোর ভালোবাসায় আছে উদাসিনতা...
আজ যখন রাজারহাট দিয়ে আমার প্রিয় আই টেন টা ছুটছিল তখন আমি ভাবছিলুম এই যান্ত্রিকতার ও উদ্দেস্য আছে লক্ষ্য আছে, শুধু এক অযান্ত্রিকের কোন উদ্দেস্য নেই, লক্ষ্য নেই...
সত্যি আমি তাই বুঝি তোকে ভালবাসতে পারলুম না, কারন আমার আর সাধারণ হয়ে ওঠা হল না, এক সাধারণ মেয়ে কে ভালবাসতে চেয়ে...
Meghla akash'e jodi ghunri hote partum....
tobe amar rash diye dite raji tor hate...
emonki lathai ta o...
Ami prosantir pothe kromoso - 
vranto hente cholechhi udvranter achhilay.... 
ek meghla bikel ke chhariye - 
hariye felechhi shanti,klantir ovidhane,ek jotil aborte...!! 
ar valolagchhena ai duronto nirontor porajoy!!! 
Ek chokrobuher kendr'e 
amar kaya ke lokkho kore jara amar chhaya ke 
akromon kore cholechhe, 
tara jane na tader kono chhaya nei...tader kono vitti nei, 
sikor nei... achhe sudhu spriha onusuyar kamonay.!! 
jontrona ta ekhane e je ami osohay amar ruchibodh'e...  
ami oparog amar soujonye... 
ami bimorso amar valolagar,valobasar mukher dike takiye..... 
amar hat uthchhe,kintu tobu kolom kandchhe ! 
bujhechhi ami onukkhon je nirmom hote aro somoy lagbe amar.... 
amar somoy lagbe ojatsotru hote.. 
nijeke valorakhar kobitay mele dhorte.... 
ami ekhane e juddho biroti ghosona korlum!!!!!
Ke tomay valobesechhilo,
Keu ki janto osomoyer kobita likhte koyek muhurter kalit'e...
Ami pap punno ke voy pai ojuhate,
Ke bolte pare tumi sunno onke dhora dile ojana sonkho ninade!!!
Bristike sudhu dristite vog kori ekhon...
Take chhunye dekhini koto kal,
Ar janio na-
Aro koto kal jabe...
Amar prem bole kichhui chhilo na kono din..
Amar biroho sudhu tomakei vabe!!
Kothar kothay prem'e pore jai roj-
Ek alokborso raatri fanka ekla eka vidio game,noyto kobitar boi,
Kothay kothay hariye feli nijeke-
Tobe,sobai jane ami keu noi!!
Ami keu noi ai songsar,ai somporko,ai bari,sohor,upomohadeser...
Kothar kotha,dhore nao ami keu noi,
Sudhu,raja ranir goppota ek peshe!!
Bikel hole e meghla kore mon ajkal,
Deowal ghorite sorir anka koi?
Kothar kotha,ami nosto purush-
Kintu mote e priyo kobi noi!!!
Dingulo tai paye paye hanta,
Kothay kothay kar nam jeno kebol e chole ashe-
Sob kothha te e danripallar ojon proyojon ,
Byangoma sudhu nisswartho byangomike valobas'e.....
Upobash'e tokhon chhilo ushno prosrobon,
Kothhata chhilo kothhai kebol kolongkini rai-
Upokothay emon to oneke benche thhake-
Roopkothader hariye fele chupkotha der pai!!
Tarpore teo matir vanr,amar shirt'e prem,
Morfiya te e cafe cofy day,gitar nirobota..
Siraz danriye ekla eka polasir prantor-
Amar khatire dhore nao sob e kothhar kotha!!!
কেউ বহেমিয়ান শব্দ টা লিখলে ...
আমি একবার অন্তত ফিরে তাকাই-
আমি একবার অন্তত তাকে ডেকে
পোড়া গন্ধ শুঁকতে বলি!
কারন প্রেমে পড়তে চেয়ে প্রেমে পুড়তে
শুধু বহেমিয়ানই জানে।
তারপর রাত কেটে দিন জুড়ে যায়-
ঘর বদলায়, প্রেম বদলায়, চারপাশ বদলে যায়,
ভালো লাগে না গাড়িতে বসে
একা একা মাল খেতে আর!
তবু আমি তাকে বুঝিয়ে চলি,
বহেমিয়ান জীবন বলে একটা জীবন আছে...
যেখানে দায় নেই,শিকল নেই,
আছে শুধু মুক্তির পিছনে ছুটে মরার
এক বদ অভ্যেস...।।
তোকে ভালোবাসার জন্যে কবিতা লিখি না...
কবিতা লিখি ভালবাসতে চেয়ে...
তাই কবিতা ক্লান্ত নয়,
যতটা ক্লান্তি কবির চোখে মুখে!!!
বুকে মুখ গুঁজে কিছু কথা,
কিছু বিষণ্ণতা দিন গোনে অপার্থিব!
একসাথে ফিরে চাওয়া এক মলিন মুহূর্ত,
বাঁচিয়ে রাখে প্রেম,সবুজ ওই গাছটাকে...
শুধু কিছু ব্যাথা থেকে যায়,
কেবল কিছু অব্যাক্ততা...
রিক্ত খাদির চাদর পাতা বিছানায়-
কাউকে ভীষণ ভালবাসলে যেমন,
হাঁটু দুটো ছোড়ে যায়!!
লেখাটা সেখান থেকে শুরু করি, যেখানে লেখাটাকে ফেলে এসেছিলুম ছাতার সাথে...! আমার একটা খাতা ছিল জানো? হাতের লেখার খাতা, বৈঠকখানা বাজার থেকে কিনেছিলেম দিস্তায় নয়, ওজনে!!! তারপর অনেক কবিতা লেখা, চুলচেরা বিশ্লেষণে পাতা ছিঁড়ে প্রেমের চিঠি...
এখন আমার আর কোন খাতা নেই, প্রেমের চিঠিও নেই... আগ্রহ ও......
শুধু লাইন টানি জের মেলাবো বলে!!!
কানের কাছে ম্লেচ্ছদের চিৎকার... আর কিছু সব জান্তা অমনিবাস চোখ মেলতেই-
তবু আমি শক্ত ভাবে ধরে আছি কলম খানা, যাতে ঝারলেই গুলির মত কালি ছিটকে গিয়ে খুন করে ওই মানুষ গুলো কে...
কিন্তু, কালির কি ক্ষমতা আছে খুন করার...?? 
সে বড় জোর, চরিত্র গুলো কে খুন করতে পারে,
আবার সঞ্জীবনী সুধা ছিটিয়ে বাচিয়ে তুলতে পারে সহস্র সগর রাজপুত্রদের...
আমি শুধু কলম কে ভরসা করে বর্ষায় ভিজি, আর বর্শায় গাঁথি শব্দের দেহ-
তবু আমার কলম হারিয়ে যায় মাঝে মাঝে...
অজানা অভিমানে- 
কিন্তু আমার খাতা শেষ হলেও পুরনো হয়না! 
আমার খাতা হারায় না পাতার বহুগামিতায়...... ... .... .. . 

Monday, 20 May 2013

লিখতে বসে,আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কোন বিষয় মাথায় আসে না... 
বিশ্বাস কর, কেউ পাশে বসে না আর আগের মত ভালবাসতে চেয়ে।
তুই ছিলি, প্রেম ছিল। তুই ছিলি ভালোলাগা ছিল, 
তোকে ঘিরেই আমার বেঁচে থাকা ছিল যৌবনের প্রজ্জ্বলতা!! 
এখন সব কিছুই যেন বাঁচতে চাওয়ার খাতিরে -
যেভাবে বেঁচে থাকার জন্যে মুমূর্ষু ওষুধ খায়,
কিম্বা জীবনের জন্যে জীবিকা, ঠিক তেমন...
আমি ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি...
পালিয়ে যাচ্ছি জ্বালিয়ে রেখে মোমবাতি...
একটা যদির অপেক্ষায়!
আর কটা দিন বাদেই আকাশে মেঘ জমবে-
ঝরবে বৃষ্টি মুশল ধারে...
ভাসবে শহর, ভাসবে প্রহর-
আমি শুধু শুকনো থাকবো সেদিনও তোকে শুধু ভালোবেসে।
কারন,ভালবাসতে চেয়ে আমি রোদ্দুর মাখেনি গায়ে-
ভালবাসতে চেয়ে আমি কাঁটা মাড়িয়েছি দু পায়ে,
ভালবাসতে চেয়ে আবার জন্ম নিয়েছি,
আর ভালবাসবো বলেই আমার বেঁচে থাকা-
এক তীব্র দাবদাহে, এক অজানা প্রত্যয়ে।।
কেনোনা, ভালোবাসা ছাড়া আর কোন অনুভুতি আমায় মুগ্ধ করতে পারেনি...
এমন কি তোমার রূপ ও লাবন্য, শরীর টুকু ও নয়!
কেনোনা ভালোবাসা ছাড়া আর কোন কাজ আমি খুঁজে পাইনি-
যার কোন সৎ বা মহৎ উদ্দেস্য আছে!!
অনুগ্রহে প্রেম চাই না তোর মোহের বিলাসিতায়,
কেবল, দোহাই তোকে- 
দুধের বদলে আমাকে মেসাশ না তোর ওই লিকার চায়েতে...
কাব্য আমার আসে না, আমায় কেউ ই ভালো বাসেনা...
সস্তা অজুহাতে হাতানো মিথ্যে মুচকি হাঁসি,
আমি কেয়ার করি না, প্রেয়ার করিনা
শেয়ার করলে আমায় করবে বিনোদিনী দাসী!

উল্লাসে বলি আমি আমার আমিত্ব নিয়ে বাঁচি,
কাঁচি চালাবে যারা তারা কি আমার থেকে ও ভালো?
তখন তোমার একুশ বছর বোধ হয়...
আর আমার তখন অকালে পাকলো... পনেরো নয়তো ষোলো!

কি যায় আসে, কে কি বলল
পড়ল জল গড়িয়ে-
কেউ দেখেনা কেউ বোঝে না লোমের প্রেম-
শুধু চড় খাই গাল বাড়িয়ে!

তবু নজর কে সামনে জিগার কে পাশ,
বেঁধে চলি আঁটি আর জাবর কাটি ঘাস,
তবু আমার মর্জি আর আমি তার মালিক
শুধু একটা শালিক তোর-
তাই তো আকাশে মেঘ করে
আর তৃষ্ণার্ত এ শহর!!

কি যায় আসে
যদি কেউ না থাকে পাশে-
ধুসর রঙেতে আসর জমবে,
অজানা সর্বনাশে!!

তবু শালা কেয়ার করিনা...


মানুষ বলেই হয়তো আবার আমি ভালো বাসবো-
আমি বাঁচবো আমার নিজের মতন করে,
তুমি কবিতায় থাকবে কবির আতিথিয়তায়,
পাঠকের মননে,চেতনে,অধরে...

মানুষ বলেই আমি আমাদের প্রেমকে বেচবো কবিতায়-
প্রবনতায় তোমাকে খুঁজবো অন্য শরীরে,
আমি মানুষ বলেই অমানুষ হব কলম বাজি রেখে,
তিল তিল করে জ্বলে মরবো ভিতরে বাইরে!!

মানুষ বলেই বিকল্প খুঁজবো খোরাকির চালাকিতে,
কবির কবিতা সবই তোমার তবুও কপি রাইট!
আলো আঁধারীতে সোনালি দেহ মরফিয়া মাখা রাত,
অজুহাতে শুধু জ্যাক ড্যানিয়েল,শব্দ ঝঙ্কারে গুড নাইট!!!!

মানুষ বলেই আমি তোমাকে রাখবো আমার অবচেতনে-
সংগোপনের শূন্যতায় একটা বিশাল আয়না,
বুক সেলফে তোমাকে উৎসর্গকৃত সারদেয়া বই,
একটা কবিতা শেষ, শুরু আবার যন্ত্রণা !!!

Saturday, 11 May 2013


বদলে যাওয়া কবিতায় তুই ভালো হয়ে ওঠ!!
তাই তোর যা কিছু মন্দ তা আমার হোক,
অজানা প্রশ্বাসে লিখি তোর নাম এক নিঃশ্বাসের আমন্ত্রনে,
কলমের কালিতে আজ সব শক্তি শুধু তোকেই বাঁচিয়ে তোলবার!!
মুহূর্ত থেমে নেই অজানা অঙ্গীকারে-
চুপিসারে চেনা মেঘ গায়ে মেখেছে প্রিয় কবি,
তোকে যে আমার আর কিছুই দেওয়ার নেই,
সাধ্য নেই আরাধ্য নির্বাসনে-
শুধু ফিরে আসবার পথে জীবনের নির্জাস টুকু ছুঁড়ে দেওয়া ছাড়া...
যেন পাতাল ঘুরে যেভাবে -
মেট্রো স্টেশনের নিচ থেকে উঠে আসে যাত্রীরা -
তুই ঘুম থেকে ওঠ তেমন,
তুইও হাতটা বাড়িয়ে দে রিটার্ন টিকিট টার দিকে!

বেড়িয়ে যাচ্ছে অনেক কিছু অনুভুতির বকলমে...
তুমি ও ক্রমশ ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছ,শব্দের পিঠে চড়ে,
এখন প্রায় সই তোমার কবিতা আমি পড়তে পারি পক্ষিরাজের ডানায়-
পার্ক স্ট্রীট গসিপ আর ভালো লাগে না তোমাকে পড়ার পর!!!
সেই রাতে যখন ফিরছিলুম ক্লাব থেকে,
আমার মদ্যপ চোখ ময় দানব কে দেখতে পেয়েছিল ময়দানে-
তার কানে গোঁজা ধুতরো ফুল আর গলায় গামছা,
সে কোলকাতা কে লন্ডন বানাতে চেয়ে নিশিদিন ব্যাস্ত,
আমার মত, তোমার মত, আমার তোমার মত-
তবু তার ঝোলায় ছিল গোল্লায় যাওয়া আরব্য রজনী-
আর তোমার লেখা কবিতার বই টা...

তখনো ভোর হয়ে আসেনি,
হাত বাড়িয়েছি যেই সকালের দিকে
ফিকে হাওয়ায় ছড়িয়েছ ছন্দ অজানা মূর্ছনায়!!
আমি তোমাকে পড়তে চেয়ে কি কি না করেছি নির্নিমেষ-
তবু তোমাকে পড়া অধরা রয়ে গেছে বহু রাত
রিডিং টেবিলের তদারকি তে!!

রোজ শেষ রাতে আলো জলে আমার ঘরে,
লোকে ভাবে আমি তোমাকে পড়ছি
তোমাকে নিয়ে লিখছি
তোমাকে নিয়ে ভাবছি
এবার একটা নতুন লেখা বেরোবে পুজ বার্ষিকী তে
নয়তো ক্যানভাস রঙিন হবে তোমার রঙে-
আমি তোমার রং খুঁজে হন্যে আজো,
কখনো গোলাপের পাপড়ি বা কখনো রাম ধনুতে-
এখনো তোমাকে পড়তে চেয়ে চশমা পরি,
আজো তোমায় পড়তে চেয়ে পাতা ওলটাই-

সত্যি কথা বলতে তোমার প্রেমে পড়া যত টা সোজা,
তোমাকে পড়া টা যদি ততটাই আসান হত-
তবে বুঝি পৃথিবীতে উপন্যাস লেখা হত না!!
আর চিঠি লেখা ও হারিয়ে যেতো না তোমার মত আমার জীবন থেকে...

কাল যদি ছুটে যাই তোর কাছে একটুকরো মেঘলা বিকেল চাইতে... তুই কি আমায় ভাগিয়ে দিবি!!
গাল দিয়ে বলবি কি -শালা দুজ্ঞি মাল!
ভাবতে বাধা নেই, জীবনে আমি একাধিক প্রেম করেছি,
যাকে প্রেম ই বলে,
আর,সামাজিক ভাষায় যাকে তোরা বলিস নষ্টামো!!
আমার অঙ্ক মেলে না,
আমার কবিতা ছন্দ পায় না-
ভারি হাঁসি পায় যখন দেখি রক্ষণশীলতার থালায় গ্রাস তোলে লোকে কামনার,
আর আমার ছেঁড়া যায়
মৌ রসি পাট্টা...
ঠাট্টা করে কি হবে মেমসাহেব-
আমি আজো তোর প্রেমে বুঁদ!
আমি আজো তোর সাথে কথা বলি একলা একা রাস্তায়,
বারিস্তায় বসে সস্তা প্রেমের গান গাই শুধু তোর কথা ভেবে চোখ বুঁজে-
অথবা মোহর কুঞ্জের সন্ধ্যায়!
ভালোবাসার নেশায় আমি বিকেল কে ডেকেছি তোর নামে,
আমার উষ্ণ দুপুর কবোষ্ণ হয়ে ওঠে তাই,
কিছু শুকনো শাল পাতা আর একটা দেশলাই,
তোকে দেওয়ার মত আর কিছু নেই এ ছাড়া!!
মোম বাতির মোম গলে,
অনির্বাণ দীপ জ্বলে,
ছাই হয় কিছু মুহূর্তের কোলাকুলি-
আজন্মকাল শুধু প্রেম খুঁজিস কালপুরুষের বুকে-
যদি প্রেমিক খুঁজতিস,
তবে নিশ্চিত আমি ধরা দিতুম তোকে অজানা কোন মেঘলা বিকেলে!!!

আমার বেঁচে থাকার শীর্ণতায় যদি সে সত্যি থেকে থাকে তবে আমি বুঝবো আমার জীবন স্বার্থক!! অনেকে অনেক কিছু ভাবে, ভাবায় !! লেখে কালবৈশাখীর নামে প্রেমের দস্তাবেজ, শুধু দলিলটা তখনো বন্দক থেকে যায় যার নামে, যার কাছে, তাকে ভাঙ্গাতেই তো আধুনিকতার চায়ে চুমুক মারা! তাই না...
একবিংশ শতাব্দীর রোদ্দুর ক্রমশ ঢলে পরছে, তোমাকে যে সবাই মহর্ষি বলছে হে কবি!!! তুমি ও কি তবে আমার থেকে ক্রমশ দুরে সরে গেলে, তুমিও কি তবে তোমার আঙুল ছারিয়ে আমাকে ঠেলে দিলে নিঠুর বাস্তবে অজানা কিছু সাব্যস্ত করার আশায়...
কিন্তু, কিন্তু আমি তো তোমাকে ছারিনি সখা,আমার আনন্দ থেকে দুঃখ, প্রেম থেকে বিরহে! আমি তোমাকে পাশ ছাড়া করিনি একটি বারও আমার আজন্মকৈশোর যৌবনে ...তবু কেন এই বিচ্ছেদ দিলে নীরব বিবর্ণতায়!!
তুমি তো সব ই জানো, যখন বন্ধুরা ডাক্তার হতে চেয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছে, হতে চেয়েছে কারুর স্বামী, প্রেমিক, পিতা...আমি তখন রবিন্দ্রনাথ হতে চেয়েছি তোমার ছায়ায়, তোমাকে দেখে! লোকে আমায় পাগল বলেছে,উন্মাদ বলেছে,হেঁসেছে আমাকে দেখে আর চোখে চেয়ে, আর আমি নির্বাক নিরুত্তর থেকে চোখ বন্ধ করে শুধু তোমার মুখখানা মনে করেছি যে ভাবে তুমি ধরা দিতে ঘুমের নৈমিষারণ্যে!! কানে কানে তুমি ই তো আমায় ওদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলতে শিখিয়েছিলে- হ্যাঁ হ্যাঁ আমি উন্মাদ, আমি পাগল আমি উন্মাদ, কারন আমার জীবন থিতিয়ে যায়নি ধুসর বাঁচার পসরা সাজাতে সাজাতে!! আমি স্বীকার করি আমি উন্মাদ কারন এখনো আমার মধ্যে বাঁচার উন্মাদনা আছে!!! তবে কেন আজ ভানু দাদা এই ভাবে মুখ ফেরালে আমার মননে!! তবে কেন আজ আমায় আর আগের মত ভালোবাসো না, কেন আমার কলমের কালিকে শাসন করতে আজ তোমার আজ উদাসিনতা...
এক এক করে আমায় ছেরেছে আমার প্রিয় শৈশব,আমার স্মৃতিভেজা কৈশোর, যৌবনের রং বেরংএর উচ্ছ্বাস!!কিন্তু তুমি পাশে থেকেছো অনুক্ষন!!! প্রিয় বন্ধু দের মুখ বদলেছে সময়ের দাবী মেনে, কিন্তু তুমি সাড়া দিয়েছো "চির সখা" সম্বোধনে!! প্রিয়তম প্রেমিকা যখন অহ রহ বিরহ মালা জপতে আমায় ফেলে রেখে গেছে একা,আমার সেই রাত জাগার প্রহরে এই শহরে আমি তোমাকেই পেয়েছি পাশে, আমার বেড়ে ওঠার অবকাশে। দিনযাপনের পর্বের প্রশ্বাসে তখন শুধুই সুনীল,শক্তি, সুবোধ, আর জয়... আর কত কবি এগিয়ে এসেছিলো আমার জোলো অনুভুতিতে, তবু আমি একটি বারও ছারিনি তোমার তর্জনি!! তবে কেন নাথ, আজ তোমার এই অভিমান আমার প্রতি?? আমার এই জীবনতো তোমারই উপজাত, আমার ভাষা, অনুভুতি, প্রেম সবই তো তোমার মেঘের ই ধারাপাত...
মনে পরে, যখন বিধাতা পুরুষ আমায় ভাষা নির্বাচনের স্বাধীনতা দিয়েছিল, তখন তো আমি তোমাকেই ভালোবেসে বাংলাকে ছুঁয়েছিলুম চোখ বন্ধ করে!! চোখ বন্ধ করে তোমার হাত ধরেছিলুম চিরমুক্তির জীবন সেবনে এক দুর্গম পথে পা বাড়িয়ে! ফুরিয়ে যাওয়া অন্তরে যে ঢেলে ছিল মৃত সঞ্জিবনি সুধা, সে তো শুধু তুমি...
আমি আজো ঠিক তেমন ভাবেই দাঁড়িয়ে সবার পিছনে ,যেভাবে দাঁড়িয়ে শুনতাম বিদ্বদজনেদের মুখে তোমার স্তুতি, ভজনা, সমালোচনা আর ............!! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেছি তোমার অবাধ্য হয়ে, কারন থাকতে পারিনি!!আবার নিজেকে বুঝিয়েছি তোমার আয়নায়!! কিন্তু তুমিই বল মিনি কি সইতে পারে কাবুলিওালার অপমান, কিম্বা ফটিক কি বাঁচতে পেরেছিল তার ওই দমবন্ধ করা শহুরে জীবনে...
বিশ্বাস কর, আজ আমারও এক বাঁও মেলে না...দুই বাঁও মেলে না...
তোমাকে ছাড়া আমার এই জীবন এক মাত্রা হীন, অর্থ হীন শব্দের মত...
আমি শব্দ জব্দ যেমন মুহূর্তে মেলাই, আমাকে অভাবনীয় ভাবে তুমি জব্দ করলে যে শব্দের বন্ধনে,সেই বাঁধনের সাধনে শুধু সেইটুকু শব্দ কেই মন্ত্র করে তোমার পায়ে দিয়ে গেলুম আমার ভালোবাসার বিহ্বলতা ...অনুরোধ শুধু-
চিরসখা, ছেড়ো না মোরে ছেড়ো না ।
সংসারগহনে নির্ভয়নির্ভর, নির্জনসজনে সঙ্গে রহো ।।
অধনের হও ধন, অনাথের নাথ হও হে, অবলের বল ।
জরাভারাতুরে নবীন করো ওহে সুধাসাগর ।।
ভালো থেকো... শেষের বেলায় জানায় পাগল শুভ জন্ম দিন!!!

পাগলী যদি পাগল হয় তবে আগল ভাঙে-
মরা গাঙে বান ভাসি হয় আমার প্রেমের কবিতা কাগুজে নৌকায়!!
পাগলী যদি পাগল হয় প্রগলভতায়-
এক কনা শিশির ভালবাসি বলে গা ধুইয়ে দেয় অবচেতন!!
সবাই যদি পাগলী হয় তবে বাস্তববাদীরা অপরাধী,
সবাই যদি নিজেকে রজনীগন্ধার সাথে তুলনা করে-
তবে পারিজাত হবে কে??
সবাই যদি বাস্তবের দুনিয়ায় গন্ধ বিলোয়,
তবে আমার স্বপ্নে আতর মাখাবে কে?
পাগলী, তুই যখন পর্দার আড়ালে থাকতে চাস-
তুই যখন আমায় ভাঙতে যাস,
তুই যখন আমায় রাগ দেখাস,
আমি তো বাধা দিই নে...
আমি তো বলি নি তুই খোলস ছাড়,শান্ত হ, কিম্বা ভাঙিস না আমায়,
আমি তো বলি নি কখনও আমি নুয়ে গেছি ওই জবা গাছের মত,
কারন, আমি জানি
একদিন এই ভাবে আমি ও মিলিয়ে যাবো আর তুই ও -
শুধু মেঘে ঢাকা চাঁদের মত এই লেখায় থেকে যাবে আমাদের অস্তিত্ব!
কেবল, ঝুল পরবে তোর আর আমার এই লেখা চিঠি গুলোতে -
আর,
এটাই গল্প, একদিন এটাই হয়ে উঠবে-
উপন্যাস!

Monday, 22 April 2013


তোমাকে খুঁজিনি বৃষ্টির জলে-
তোমাকে খুঁজিনি ঘুমের অতলে,
প্রশান্ত কিছু ভালোলাগা শুধু রয়ে গেছে বলে তাই-
আমার গভীর গোপন রাত,
শুধু বাঁচবার অজুহাত,
অনমনীয় পৌরুষ নিয়ে তবুও হাত বাড়াই!

একটা খেলার সিংহাসন,
যা মনের মতন-
তাকে হারিয়ে আজকে নিঃস্ব হয়েছি অজানা বশ্যতায়-
তবু মেঘেতে পা রাখি,
আমি ফল্গু ধারায় থাকি,
মুক্ত প্রেম হাত ছুঁয়েছে নিরব অলসতায়!

আমি লুকিয়ে দেখি তাই
তোমার রূপের খোলতাই-
জলছবিতে স্থল পেয়েছে কলঙ্কিনী রাধা,
নগর বাউলিয়া
সম্বল, একতারা এক হিয়া-
জীবন মানে প্রেম মজার এক ধাঁদা!!!

তবু মিথ্যে কে নিয়ে রোজ-
আমার চলে সত্যির খোঁজ,
চোখের ভাষায় জানতে চাই তেপান্তরের কথা!
যারা মিথ্যে ভালবাসে,
হাঁসে আমার সর্বনাশে-
তোমার খাতিরেই কাছে টেনেছি সব অসহায়তা!!

আসলে একটা ফাঁকি-
একটা রঙিন ছবি আঁকি-
একটা গল্প লেখার কবিতা লেখার বিরাট বড় দায়,
তুমি আসলে তুমি ই...
যেমন ঝুম ঝুমি,
দুর্গা পূজোর মতন একটা হুজুক অভিপ্রায়!!!!


একটা অর্ধেক গ্লাস মাল,
তাতে রেগুলার ওয়াটার-
নেশাটা খাসা প্রেমে
কবিতার পাতার...
একটা অর্ধ নগ্ন নারী,
তাতে যাতনা বিস্তর-
কামনা রং বাহারি
শুধু চাওয়া টাই দুঃস্থ!!

Sunday, 7 April 2013


অচেনা হাওয়ায় ভেসে আসা গন্ধে জানলুম তোর মন ভালো নেই! তোর মন ভালো নেই রক্ষণশীল ঝিলের জলে বাসি ফুল ভাসতে দেখে, তোর মন ভালো নেই আকাশের অভিমানে!
চাঁদ কে আমি তোর নামে ডাকতে শুরু করেছিলুম,আমার নীল ভালবাসাকে যে অপরাজিতা বলে তোর পায়ে দেবো ভেবেছিলুম তা স্বপ্নই রয়ে গেলো অনাঘ্রাতা, তাকে কেউ ছুঁলো না, তাকে কেউ দেখলো না, তাকে কেউ বুঝল না,একটা অধরা পাট না ভল্কাতাড়ীর মত সে পরে রইল,ক্ষয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়, পিঁজে যাওয়ার প্রতীক্ষায়......
যেদিন রাত আর সকাল হবে না আমার,যেদিন কবিতা লেখা থেমে যাবে, যখন কলমের মলম আর প্রয়োজন পরবে না প্রিয়জনের বিরহ ক্ষতে লাগাবার বিক্ষত যন্ত্রণায়, সেদিনও হয়তো এই প্রেমের ভ্রুন হত্যাকে, এই অধরা মাধুরী কে আমি ভুলতে পারবো না!
আমি কথা দিলুম,আজ কের পর থেকে আমার কোন লেখা তোকে ঘিরে হবে না, তোকে নিয়ে হবে না, কারন তুই ভীষণ ভালো কবিতা লিখিস ঠিক ই, কিন্তু একটি ও প্রেমের চিঠি তোর কলম জন্ম দিতে পারেনি, একটিও প্রেমের চিঠি তুই লিখিস নি,কারন তুই জানিস ই না প্রেমের স্বাদ, প্রেমের রং,প্রেমের শব্দগন্ধময়তা,তুই জানিস ই না প্রেমের মাহাত্ম্য স্বার্থক বিন্যাসে, তুই জানিস না ভালোবাসা আর দাম্পত্য সমার্থক নয়! আর আমি এও জানি কোন পুরুষ যে নিজেকে প্রেমিক মনে করে সে তোকে একটিও প্রেমের চিঠি লেখেননি!
সুন্দরীর প্রতি পুরুষের আসক্তি প্রকৃতির নিয়মে,সেখানে অন্যায় যেমন নেই তেমন নেই ন্যায়ের নিয়মাকতা, আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি যে সব পুরুষ হৃদয় এই যাবতকাল তোকে প্রেম নিবদনে রচনা করেছে গীতগোবিন্দ আমি তাদের থেকে অনেক ভালো পদাবলী তোর জন্যে লিখতে পারলেও এক সাধারন মেয়ে কে ভালোবেসে লিখেছি রাতের পর রাত প্রেমের চিঠি!! একশো নীল আট পদ্মের ভালোবাসায় বন্ধনহীন দাবীহীন কামনায় দোল পূর্ণিমায় আমার ভালোবাসার রঙ্গে রঙিন করেছি তোর যন্ত্রণাকে...তবু তুই বুঝিসনি আমার ব্যাকুলতা, আমার আকুল আর্তি তোর জ্যোৎস্না কে ঘিরে, তোকে ঘিরে!
যদিও তোকে নিয়ে এটাই আমার শেষ লেখা, বিশ্বাস করিস কিম্বা না করিস কারন, রূপে ভোলার পুরুষ যদি আমি হতুম তবে কবেই ভবঘুরে হয়ে বেড়িয়ে পরতুম ঘর বাড়ি ছেড়ে প্রকৃতির রূপের মোহে,কিন্তু আমি রাজা, আমি বাংলার নবাব সিরাজ আর আমিই ফকির, আমিই সন্ন্যাসী মনের বানভাসি প্রতিকুলে! আমি আর তোর মনের গহনে আসবো না, আমি আর ফিরে চাইবো না তোর দাম্পত্যের মিথ্যে সুখের দিকে, আমি আর ডাকবো না তোকে যে নামে ডাকতো রবীন্দ্র কাদম্বরী কে...
প্রনয়ে প্রনয়ীর বিনয়ে যে ফল নির্নয় হয় সময় আর সম্পর্কের সমীকরণে তাকে গোপন অনুনয়ে আমার প্রথম ও শেষ উপহার হিসেবে দিয়ে গেলুম তোকে, হয়তো এই উপহার আমার প্রেমের মতই তোর কাছে মূল্যহীন, তবে কি জানিস আমার অন্তরের অন্তরতম জায়গায় তোকে নিয়ে গিয়েছিলুম দোল পূর্ণিমার মেলায়, আজ যখন তোকে ফিরিয়ে দিয়ে গেলুম তখন আমার একলার পথ বহুপরিচিত হয়েও আজ বিরহের ভার টা একটু যেন বেশী, আকাশে এখনো পূর্ণিমার চাঁদ, আর আমার আকাশ আজ সম্পূর্ণ অন্ধকার, আগামী বছর দোলে হয়তো আমি আর থাকবো না তোর দুরে থেকেও কাছে, বলতে পারবো না একটা চাঁদ তোঁ আমার আছে,তাই যেতে যেতে আগামী বছরের বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলুম,
আসিবে ফাল্গুন পুন তখন আবার শুন নব পথিকের গানে নুতনের বানী, দিয়ে গেনু বসন্তের এই গান খানি...
ভালথাকিস......

Narira onek kichhu pochhondo kore provash...
Sorbonash,patihansh,premiker lash,pronoy prohash,aro koto ki...!!
Fanki deowar jolokelite-
Olite golite sudhu parijat rekhe jay biroho mohe...
Omon sirish kagujiya gale,paharer dhale,panna probale-
jodi prem khonjo probonchonamoyi,

Tobe je akash dhora debe bristi hoye taki bojhona...
Tumi ki bojhona ami boka noi,
khoka ilisher swade premik opobade ami ekla banchte raji...

Tobu raji noi,tomar Udasinotar khatay nam lekhate,
Vison gorome aj chitpoorer pich golchhe,
Bolchhe ,khol nolche bodle ekta asto swarthopor pronoyi hote,
Kintu tumi to janoi-
Amar lekhar alada ekta style achhe,
Ar amar valobasar o....

ক্লান্ত শিশিরের কাছে কি চেয়েছিলুম ভুলে গেছি-
আমার মনে নেই বন্‌ধ ভাঙা সকালের মানসিকতা,
এখন আমি রসের নাগর ডাগর চোখে বুঁদ
অপারগ কিছু কর্তব্য আর আনন্দলোকের পাতা,

যাতা বলে বলুক না সই,কই মাগুরের ঝোল-
আমার বেলা বারোটার গোটা মিথ্ টাই সাহেব বিবি গোলাম,
বদলে যাওয়া অদল বাদল মাদল খানাই ভালো!
সবার শেষে ফিল্টারে এসে কাঊণ্টাড় খানা পেলাম!

হস্তিনাপুরে খাস্তা কচুরি পাস্তা প্রেমিকা সুইট-
আমার দুপুরবেলার দুষ্টুমি তে প্রশ্রয় শুধু তার,
টুইট করে লিখে জানায় ফরাসি স্মুচের রেসিপি-
খাপী না হলে সুতির কাপড় ও পায় না যে সংসার!

ঘামের খামেতে হামির দাগেতে বদনামে এক শেষ-
আমার বিকেল বেলার বিরহ রোদে গোদেতে বিষ ফোড়া,
পাড়া পড়সির হতে পারি আমি দুই চক্ষের বিষ, 
কিন্তু এখনো আমায় লুকিয়ে দেখে সুনয়ন একজোড়া!! 

মিথ্যে গুমোর অমর থাকুক ওমর খৈয়াম-
আমার সন্ধ্যে বেলার মদের গন্ধ অন্ধ দ'এ মজে,
মালবোরো আর সিগ্নেচার শিষ্টাচারের দাওয়া-
রবীন্দ্রনাথ ছারা শালা সব কিছুই বাজে!

হ্যাংলা হলে বাংলা ছাড়ো মহিলা প্রীতি আগে-
আমার রাত্রি বেলার ধাত্রী নেশা কালো অন্ধকার,
এক এক করে খুলে ফেলো খোলার যা কিছু আছে
আসল আমি আমার সঙ্গে, রাতটা আমার একার!!!!

Friday, 22 March 2013



Jibon ke ai vabe kono din dekhini....
vabini je singhol dippunjer kunje ek vromor piyasi mon
obochetoner kobitay,emon vabe jiggasa korte pare-
aj tumi ki amar sathe sobe??
poronto bikeler aloy jante cheyechile-
ami tomar jibone ek osthayi jhor hote pari kina!!!
pari kina chupi sare gorad vangte kimba sindh katte,
othoba jomunar dhare bansi bajate hariprasad chourosiyar moto!
khoto bikkhoto hote hote
bolte ki paro-
sthayi bole kichhu hoy kina ai duniyay?
sob e obinossor,sob e osthhayi....
udbayi sudhu kamaturota!
vog ar upovog bidhatar tachchhillo ar onukompar dan..
somvog ar joubon issorer prokrito asirbad !
oi je karniser kone kopot kopotini,
glanihin songome moje,
ar amader asor saje,
sudhu swikritihin basor sajle e dosh..
ami porojonme biswasi noi...
jibon ke pete chai nana roope nana vabe..
tai tomar sorirer sthobir oi paharare churoy 
jodi ami chiro bosonter ason pati,
jodi tomar kamonar ongke ami nijeke ekok dhore
khunjte chai somadhan sutro tobe ki seta mondo,kharap,pap????
jara okkhom tara gondi anke,
pap punner berajale nijeder okkhomotake dhakte chay...
kintu,pap bole kichhu nei punno bole kichhu nei..
achhe sudhu ek vasoman kal,ontohin opekkhar kuhelika..
jokhon tar majhe amra doibat ese porechhi 
tokhon eke opor ke keno amra chhonbo na,
chete dekhbo na tomar ghamer noon ar samudrik loboner moddhye ke besi nonta....
Ami moner khide metate boi pori,
peter khide metate khai,
ar sorirer khider tagide sui jhore pora juiyer moto....
prothagoto jibon ke khunje pele mukti ke bolbo -
toke ar valobasi na ami...
ar mukti ke peye jibon ke bolbo- tui boro sosta...
ai torjay pora sorir ta bratto thhakbe -
ta kokhono hoy naki!!!
fanki dile to koto kichui banka pother pashe,
sorbonaser mathay chand uthuk raate,
hate sudhu sunnota tukui pabe 
jokhon seser patay uttor melate jabe
ebar bolo tumi ki sobe amar sathe???



উজানে ফেরেনা নদি...
শুধু ফেরে এক জোলো হাওয়া-
আমি অবিশ্বাস করব না তোকে
যদি এক মুঠো প্রেম নিয়ে এক পা বাড়াস আমার দিকে...
আমার সব দোষ কেবলই আমার,
আমার সব গুন জানবি শুধুই সময়ের অনুদান,
ভালো ভেবে যদি আমার দিকে ফিরে তাকাস,
জানবি আমি তোকে ভালবেসেও কু নজরে দেখি!!
মিথ্যে হতে পারে এই রাত জাগা,
প্রশান্তির ঘুম, যাতনার স্বপ্ন বিলাস,
কিন্তু আমি তোকে ভালো যে বাসি আজ এটাই এক মাত্র সত্যি...
যদি ফিরে না আসে ঘিরে ধরা অনুভুতি গুলো,
যদি তুইও না ফিরিস চেনা পথ ধরে কোন রবিবারে
আমি একলাই হাঁটবো রবিন্দ্রসদন একাডেমীর রাস্তায়-
বৃষ্টি নামুক রোদ উঠুক
আমায় পোড়াক, আমায় ভেজাক
তবু তুই দুর থেকে জেনে রাখিস
আমার আজকের ভালবাসায় কোন খাদ ছিল না...

কথা দিয়ে বয়ে যায় তবু 
দক্ষিনের বাতাস, হতাশ কাজল কালো চোখ
শুধু চেয়ে থাকে বেয়ে যায় জল, 
তুমি আগুন কে ফাগুনের দোহাই দিলে
এলো মেলো কথার উত্তর পাবে কেবল, 
রাত নামে যার নামে
তাকে প্রেমের কাঠামোয় অন্য রূপে 
মেনে নেওয়াটা বুঝি 
নিজেকে জিতিয়ে দেওয়ার কৌশল-
অথবা অসহায় শান্তনা,
তার চেয়ে ভালো এক রাত একাকিত্ব বুকে নিয়ে
যন্ত্রণা মাপা অজানা রিকটার স্কেলে-
অখিল মিস্ত্রি লেন দিয়ে যে সদ্য বিধবা যুবতীটি
তার যৌবন ধার দিতে যায় নীল ঠিকানায়-
আমার নীল রক্ত একদিন চলকে উঠেছিলো
তার ঘামে ভেজা পিঠ দেখে,
আমার নীল রক্ত একদিন এমন ভাবেই চলকে উঠেছিলো
যেদিন এক পরিচিতা বিধবা বৃদ্ধা কে হাত পাততে
দেখেছিলুম এক যুব স্বাবকের কাছে-
সত্যিই কেটে গেছে অনেক কটা বছর 
আজো অপেক্ষায় আকাশ, শূন্যতার গভীরে শুধু
ধু ধু লেবু তলা মাঠ,আর ট্রিঙ্কাসের সামনে 
মদ্যপ এক কিশোরের বেড়ে ওঠা নিজের পায়ে
দাঁড়ানো,দাঁড় কাকের ময়ুর হওয়ার স্বপ্ন দুই চোখে-
একটা মসৃণ রাস্তা, সস্তা পেটে দামী মদের নেশা-
গাড়ির কাঁটায় তখন ৯৯+আমি=১০০
মনে প্রানে কানে গানে গানে তখন একটাই মূর্ছনা-
"যো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পারেগা, চাহে জামানা চাহে
চাহে খুদায়া তুমকো আনা পারেগা...
যো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পারেগা.........

Wednesday, 20 March 2013



চাঁদ ক্রমশ পূর্ণতা পাচ্ছে... 
সামনেই দোল পূর্ণিমা! 
আমার মনের কবিতায় শব্দ হারাচ্ছে,
ছন্দ কাটছে- তাল লয় অবক্ষয় মুক্তি পাচ্ছে রঙ্গিনতার আভাসে... 
কোন দিন মেঘে ঢাকা চাঁদ দেখেছিস কুসুম বনেতে,
কিম্বা মেঘলা আকাশে চাঁদের খেলা রাতের হাত বদলের প্রহরে,
বুঝতে পারবি মেঘের আড়ালে চাঁদ আছে,
আমার কাছে, তোর কাছে,কিন্তু থেকেও নেই...
চাঁদের আভা তার অস্তিত্ব প্রমান করতে মরিয়া,
পাতায় পাতায় তখন ঘসা লেগেছে 
হৃদয়ে বাজছে কোমল গান্ধার...
মেঘলা মনের প্রেম,তবুও তো-
সে কি ভালোবাসা নয়,
সেকি নয় ব্যাকুল বকুল গকুল আকুলতা -
না বলা কথার গন্ধে এখন আর ভ্রমর গান গায় না,
এখন প্রেম ও শো অফ্ করতে সিখে গেছে,
শিখে গেছে মুখ ঘুরিয়ে বাঁচতে কাস্তে হাতুরি তারায়...
জোড়া ফুল তো বৈধ এখন তাই না!!! 
এখন তো প্রেমের সৌধ আর শিলান্যাশ টা কমোন ব্যাপার-
এখন আর কেউ চিৎকার শুনতে পায় না,
দেখতে পায়না গ্রহণ লাগা চাঁদের ফাঁদে কেমন ভাবে 
আটকা পড়ে ইঁদুর জাঁতা কলে-
এখন সবাই সাবধানী, অনুসন্ধানী 
অভিমানীনি হওয়ার সময় কোথায়?? 
দুই চোখের পাতা এবার ভার হয়ে আসছে,
বাতাসে ভাসছে বসন্তের গন্ধ অন্ধ কামনায়-
তুই দুরে থাকিস কিম্বা কাছে
আমার এই বসন্ত উৎসবের সব রং আজ এই রাতে শুধু তোকেই দিয়ে গেলুম,
তোর ঘুমন্ত পায়ে আমার প্রেমের আবির লেগে থাক,
কাল সূর্য স্নান যেন তোকে বাকি উষ্ণতা টুকু দিয়ে যায়,
আমার অনুরধে...


নীল রক্তের একটা নেশা,
সারেঙ্গীটার সুর যেন পথ হারিয়েছে-
বাড়িয়েছে যে হাত,ছিটিয়েছে আতর গোলাপ জল,
সেই হাতে যেন অজুহাত লয় কেটেছে!!
তবলার বোলে গলে গেছে মোমবাতি,
আজ রাত্রি আমায় কবিতা শোনায় নি...
কানে কানে বলেনি মুছে ফেলো চোখের জল,
খেয়াল হল-
আজ একবার ও আমি বলে উঠি নি তাকিয়া চাপরে-
কেয়া বাত,কেয়া বাত......

একটা কাজল কালো মেঘ জমেছে চোখে-
তোর ভ্রুর মালভূমির মাঝে যেন এক বিংশোর সূর্য উদয়-
খাতায় এখনো কলম ছোঁয়ায় নি কবি,
শুধু বিশ্বাস কর একটি বার আমায়!!!!! 
কোলকাতায় তখন ধুলোর কুলো হাতে-
রাতে একা আমার পাশ বালিস,
তোর শাসন তোর আসন তোর সোনার প্রতিমা বাসন...
লালচে আলোর টেবিল ল্যাম্প আর কানেতে নালিশ!
হাতের মুঠোয় বোলপুরের মাটি,
খাদির চাদরে আদরের উপবাস-
আমি এক সামান্য স্বীকৃতিহীন কবি,
তোর যোগ্য হোক যোগ্য হোক মেঘদুত কালিদাস!!!!

Wednesday, 13 March 2013


ছুটে গিয়ে যদি বলতে পারতুম,
তবে বুঝি বুকের পাষাণ ভারটা কিছুটা হলে ও হাল্কা হতো পলকা মেঘের এককে...
আমার রাত জাগা, কবিতা লেখা,
পাশ ফিরে অপাঙ্গ প্রস্রবন সবেতেই তোর নাম লেখা শর্ত সাপেক্ষ...
গধুলীর মহার্ঘ আধুলির বিনিময়ে পাওয়া যে গা ধোওয়া প্রেম,
বাদামী অনুভুতির খোলস ওড়ায় ফু দিয়ে,
তাও আমি সহ্য করি দাহ্য পুরুষত্ব নিয়ে -
কারন পাগলী তোকে ভালোবাসার কোন খামতিতে
নিজেকে অপারগ ভাবতে চাই না আমি......!!
আজ কাল আজ আবার কাল,
এমনি করে কেটে যাওয়া দিনের ঋণে-
তোকে এত টুকু কাছে পেতে চেয়ে কি না করেছি আমি...
রাস্তা ছেড়ে দাঁড়িয়েছি বোবা বিকেলের পড়ন্ত সূর্যের কবিতায়,
সন্ধ্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিসিয়ে দিয়েছি রসিয়ে পাওয়া সোহাগ 
শুধু বাড়ি ফেরতা ট্রামে তোর দিকে আর চোখে তাকিয়ে......
গাড়ি ছেড়ে ভীর বাসে চেপেছি কাছে পাওয়ার অজুহাতে নেহাতই তোর চুলের গন্ধ্যে তোকে একটু নিজের ভাবতে চেয়ে...
রাত্রি কেটেছে প্রবাসীর মত অবসাদের মন কেমনে।
তবু আমি তোকে ভালবেসেছি ...
তবু আমি ভালবেসেছি দিনযাপনের অবকাশে,
আমি ভালবেসেছি এক চিরন্তন বিশ্বাসে...
আমি ভালবেসেছি এক অস্থিরমতি যুবতিকে,
আমি ভালবেসেছি তোকে কোন এক মুহূর্তে এক নিস্বাসে... 

মেহগিনি মনের কোনে জমে থাকা চাওয়া ,অভিলাশ,আকাঙ্ক্ষা, অপ্রাপ্তি গুলো রাত্রি হলে অজস্র কুণ্ঠার হাত ছারিয়ে যখন ধির পায়ে আমার কাছে এসে দাঁড়ায়, তখন আমার প্রাপ্তি গুলো আমার গলা জরিয়ে অঘোর ঘুমে কাত! আমি শুধু ফিরে চাই অপ্রাপ্তির মুখের দিকে, আর স্ফিত হাঁসিতে বলি-সব উত্তর তোমায় লিখে জানাবো কবিতায়! তারা বাধ্য দাসানুদাসের মত ঘাড় হেলিয়ে মিলিয়ে যায় রাতের অন্ধকারে,আর আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস ছারি......
লালচে টেবিল ল্যাম্পটার সামনে যে বেলজিয়াম কাঁচের আয়নাটা আছে সেটাই শুধু আমায় অসীম ক্ষমায় অনুকম্পায় এক অনাঘ্রাত প্রতিবিম্বের যোগ্য বলে মনে করে,যে নিঃশব্দ এলসিডি টা আঁধার কালো ঘরে আলোআঁধারির জলতরঙ্গে আমার নীরব অনুভুতির,অভিব্যাক্তির অনুভব কে চিনতে পারে অচিরে, অক্লেশে সেটাই শুধু আমার সমব্যাথি!পায়ের নীচের যে গালিচা আমার দুই পা চেপে না ধরে দোহাই না দিয়ে আমায় প্রশ্রয় দেয় জীবনের ভাঙা গড়ার খেলায় এগিয়ে যেতে, সেই গালিচা কেই আমার চাঁদোয়া করতে কোন দ্বিধা নেই দন্ধ নেই...এটা জেনে রাখিস আমি একটা মানুষ, যে জীবন টাকে রোগে নয় ভোগ করতে চাই রাখালিয়া বাঁশির মত, জীবনটাকে গায়ে মাখতে চাই যেমন ভাবে ধুলো মাখে গায়ে বাউলিয়ারা খোয়াইয়ের পথে... 
কোন অশান্ত রাতে যখন মুহুর্ত কে থেমে যেতে দেখি,ঘরের রজনিগন্ধার গন্ধ আর বারান্দায় গাঁজার গন্ধকে ছাপিয়ে তোর পারফিউমের গন্ধ আমায় ছরিয়ে দেয় সারা কোলকাতায় নির্নিমেষ, তখন বাইপাশ দিয়ে ছুটে চলা গাড়ি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে দাঁড়িয়ে থাকা নারী, কেউ ই আমায় আকর্ষণ করতে পারেনা দুদণ্ড থামাবার দুঃসাহসে! আমি ছুটে চলি দেশ কালের নাগালের বাইরে এক স্বপ্ন ময়তায়...! তোর ঘামে ভেজা পিঠ যখন চোখের সামনে ভাসে, মনের ক্যানভাসে তখন সদ্য রং ছুঁয়েছে সোহাগ ! আমার গলায় দলা পাকায় যে আবেগ, যে না বলা কথাগুলো শুকোয় ব্যাক্তিত্বের রোদ্দুরে তাকে কিভাবে কোন মৃত সঞ্জীবনী সুধায় টাটকা করে তুলবো তা ভাবতে ভাবতেই সময় ছুঁয়ে যায় বাস্তব কে... সূর্য হেলে পড়ে... চাঁদ হারিয়ে যায় তার কলঙ্কিত প্রেম কে নিয়ে সামাজিক আলোর ভীরে... 
কোন সৌজন্যের খাতিরে আমি আমার ভিতরের বন্য প্রেমকে জঘন্য বলতে নারাজ, তাতে যাই বলিস তুই আমি অসামাজিক! তাতে যাই ভাবিস তুই আমি অসভ্য জংলী ইতর বর্বর! ভালোবাসার কবিতায় কলম ছুঁইয়েছি বলে গরু কে ফুল ছুঁড়ে মারার পক্ষপাত দুষ্ট পুরুষ যদি আমায় ভাবিস তবে জানবি,তুই মূর্খের স্বর্গে বাস করছিস! আমার কৌলীন্য যদি অভিশাপ হয়ে থাকে,আমার আরাধ্য প্রেম যদি অবাংমনসোগোচর হয়,আমার পাণ্ডিত্যের মেঘ যদি আমায় উন্নিত করে সেইখানে যেখান থেকে আমি স্বাচ্ছন্দের অভিসারে প্রিয়তম নয়, শ্রদ্ধেয় সম্বোধনের উপযুক্ত হই, তবে আমি ব্রাত্য হতে রাজি,আমি বেশ্যা হতে রাজি, আমি মূর্খ হতে রাজি...কারন আমি চাই না এমন স্বর্গীয় প্রেম যা আমায় অনন্ত বিরহীর সাথে এক বেদিতে দাঁড় করাবে আসামীর মত...
আমার ব্লেণ্ডেড হুইস্কি খেতে ভালো লাগে কিন্তু ভালোলাগাটা আরও বাড়ে যখন গ্লাসটা হয় মনের মত চওরা পেটি ওয়ালা ,বেঁটে, পাতলা কাঁচের,...আর আসরের সঙ্গীরা হয় সঙ্গতার গণ্ডী ছারিয়ে অসঙ্গতির মুখশুদ্ধিতে নিঃসঙ্গতার দোসর!ডিম লাইট জ্বলা ঘরে তখন নেশা চরে, পেটের ভিতরে চিরিবির করতে থাকে মদ আর ঠোঁট দুটো চুম্বন হীনতায় বিড়বিড় করতে করতে বলে চলে-

আমার প্রেম ছিলো সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের মতো,
তুমি চেয়েছিলে কবিতাপ্রধান প্রেম ।
তাই, বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে
লঘু হয়ে আসা নিম্নচাপ যেরকম
শান্তরূপে অতিক্রম করে উপকূল-
তেমনি কোনো ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়াই
আমার প্রেম অতিক্রম করেছে তোমাকে ।
তা না হলে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের মতো চোখের পলকে
সে তছনছ করে দিতে পারতো
তোমার সাজানো সংসার, গাছপালা, ঘরবাড়ি ।
সে পারতো তোমাকে চিত্রল হরিণীর মতো
গভীর গভীরতর সমুদ্রে ভাসিয়ে নিতে-
যেখানে চিত্রল হরিনীর সাথে চূড়ান্ত সঙ্গমে মাতে
ডোরাকাটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার ।

শুধু তোমার জন্য, শুধু তোমার কথা ভেবে,
সমুদ্রের নাভি থেকে জাগ্রত আমার অশান্ত প্রেমকে
আমি শান্ত সন্তের মতো তোমার সন্ত্রস্ত উপকূল
অতিক্রম করতে বলেছি ।
তোমাকে সে প্রদক্ষিণ করেছে, হজ্বযাত্রীরা যে রকম
শান্ত নগ্ন পায়ে প্রদক্ষিণ করে পবিত্র কাবাঘর ।

তোমার জন্য প্রেমকে আমি পরিণত করেছি কবিতায় ।
তাতে লাভ হয়েছে পাঠকের এবং তোমার ।
কিন্তু তার জন্য আমাকে কি করতে হয়েছে, জানো ?
এপ্রিলের সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের মতো
তোমার উপকূলের দিকে ছুটে-যাওয়া
আমার আবেগের ঢেউগুলোকে পুনরায় মধ্যসমুদ্রের দিকে
ফেরত পাঠাতে গিয়ে আমি রত্নাকর দস্যুর গায়ে
পরিয়েছি বাল্মীকির বেশ ।

তুমি তোমার দুরন্ত ছেলেটির গায়ের
জামা বদল করার সময় নিশ্চয়ই বুঝবে,
কাজটা কবিতা লিখার মতো সহজ ছিল না ।
(*কবি -নির্মলেন্দু গুন এর সামুদ্রিক প্রেম)
জয় গুরু ...
শুভ রাত্রি......

সত্যি বলতে গেলে অনেক দিন বাদে আবার লেখার তাগিদ পাচ্ছি শুধু তোর জন্যে... ! এমনিতে যে লিখতুম না তা নয়! লিখতুম, ছিঁড়ে ফেলতুম, আবার লিখতুম! ফেসবুকের দৌলতে যারা অনেক কিছু পেয়েছেন, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, প্রেম থেকে পরিবার, আমি তাদের সম্প্রদায় গত নই! তবু আমি আমার লেখা কে ফিরে পেয়েছি এক অজানা পথের পথিক হয়ে...এটাই অনেক বড় পাওনা আমার কাছে!!! 
অনেক চিঠি পাই এই ফেসবুকিয় দুনিয়ায় যে গুলো স্বভাবতই গোপন চিঠির আওতায় পড়ে, আমার ভালো ও লাগে পেতে... ! অনেকে আমার লেখা বোঝেন, অনেকে বোঝেন না...আমার প্রেম আমার ভালবাসা দুই মেরুতে অবস্থান গত দুই পাঠকের ক্ষেত্রেই সমানুপাতিক!তবু তোকে খুঁজে আমার লেখা তোকে ভেবেই আমার লেখা, তোকে উদ্দেস্য করেই আমার শব্দ চয়ন!
আমি যে তোকে ভালবাসি,ইন ফ্যাক্ট ভালোবেসে ফেলেছি তা কিন্তু নয়,আবার এটাই হয়তো নিত্যতা সুত্র মেনে সত্যি! কিন্তু তাই বলে ন্যাকা ন্যাকা ভালবাসার খাসা চব্য সভ্য সমাজের রীতি মেনে রোজ একটি করে চুমু তোর মাথার বালিসের তলায় রেখে আসবো এমন যদি ভাবিস,তবে বলবো তুই আমায় চিনিস নি, তুই আমায় জানিস নি,তাই বুঝি আজো বুঝে উঠতে পারিস নি আমার ভালোবাসার গন্ধ যা তোকে এইযাবতকাল ঘিরে থাকে তাবৎ তাবৎ দামী পারফিউমের গন্ধ কে ছাপিয়ে...
ভাবিয়ে তোলার ক্ষমতায় যারা পারদর্শী তাদের মর্ম স্পর্শী কিছু বিষয় থাকে, যা দিয়ে তারা ভাবায়, হাঁসায়, কাঁদায়...! সুন্দরতো কত জনই থাকে সম্পর্কের ফাঁকে যাদের উষ্ণতায় ভাঁপা ইলিশ রান্না হয় কোন এক বৃষ্টি মুখর রাতে কিম্বা দুপুরে, কিন্তু পায়েস রান্না সত্যি দুস্কর!!!
আমি তোকে আমার সাথে অজানা অজুহাতে মিসতে বলছি না যেভাবে মেসে নদি মোহনায়, কিম্বা দিগন্ত রেখায় আকাশ... আমি শুধু তোকে বুঝতে বলছি,বোঝাতে চেয়েছি আমার ভালবাসা, বলতে চেয়েছি ভালবাসা মানে কোন বন্ধন নয়, ভালবাসা মানে কোন দাবী দাওয়া নয়, শুধু নীরবে চেয়ে থাকার এক মুহূর্ত... শুধু তুই জানবি আমি তোকে ভালবেসেছি আমার এই পথ চলার এক চূড়ান্ত মুহূর্তে...আমার শার্টের বোতাম গুলো যেমন বোঝে ওরাই ওই কাপরের খোলস টাকে শার্টের স্বীকৃতি দিয়েছে...! তাবলে আমি কোন স্বীকৃতি চাইছি ভাবিস না, কারন স্বীকৃতির পরোয়া যদি করতুম,তবে বেপরোয়া মন টাকে নিষ্কৃতি দিতুম অনেক আগে বাকি পুরুষ দের মত বিয়ের আল্টিমেট বাসরে কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে...!!যাই হোক...
রাত বাড়ছে, এক এক করে ঘরের আলো, টেবিল ল্যাম্প নিভে যাচ্ছে, কাত হয়ে শুচ্ছে এক এক করে ক্লান্ত পুরুষ দেহ পাশ ফিরে! আর যারা শিবের মাথায় জল ঢেলে সলতের আগুন জ্বেলে পুরছিলো তারা এখনো উপবাসী থেকে গেছে হয়তো কানারাতে অজানা মানসিক ব্রতয়!!! তুই কুয়াসায় ঢাকা আকাশ হতে পারতিস, তুই কাঠামো ভাসা নদি হতে পারতিস,তুই শ্যাওলা জমা উঠোন হতে পারতিস,চাইলে তুই অনেক কিছু হতে পারতিস কিন্তু তুই ভাতের থালা হয়ে রয়ে গেলি দুই বেলার...
আমি তো তোকে শুধু আমার মাথার না আঁচরানো আলুথালু চুল হতে বলেছিলুম, কিন্তু তোর যে পছন্দ বাবুল টুথ পেস্ট "কম দাম ঘর ভরকে আয়ে কাম "...তা জানা ছিল না... 
শুভ রাত্রি!!!!
জয় গুরু!!!!!